ভারত ১-০ বাংলাদেশ। আপনি কিভাবে দেখছেন এই রেজাল্টকে?কি ভাবছেন এই স্কোরলাইন দেখে। বারংবার যেনো সেই একই ফলাফল। ভারত জুজুতে যেনো আবদ্ধ হয়ে আছে বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণের কোনো মাধ্যমই যেনো নেই।

ফাইনাল ম্যাচে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে ভারত। ধারাবাহিক খেলা বজায় রেখে নিজেদের স্বভাবসুলভ খেলা চালিয়ে যেতে থাকে। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের ৮ মিনিটে। ভারতীয় দলের খেলোয়াড় লেভিস জাঙমিলুনের থ্রু পাস থেকে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় লিরঞ্জন ভরত এবং বল পেয়ে বিন্দুমাত্র ভুল না করে গোল করেন ভরত। বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক নাহিদুল ইসলাম সেখানে ভরতকে আটকানোর চেষ্টা করলেও পেরে উঠে নি।

গোল হজমের পর যেনো মানসিক চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। লক্ষ্যহীনভাবে খেলা চালিয়ে যেতে থাকে। একের পর ভুলে বল চলে যায় ভারতের কাছে। শারীরিক বা মানসিক কোনো দিক দিয়েই যেনো ভারতের সাথে পেরে উঠছিলো না বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতীয় গুছানো খেলা উপহার দিয়ে পুরো মাঠটাই নিজেদের করে নেয়।

৩৪ মিনিটে কারিশ সোরামের লম্বা করে বাড়ানো বল বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ইসমাইল হোসেন ঠিকভাবে রিকোভার করতে না পারলে গোল করার সুযোগ পেয়ে ভারত। সেখানে থাকা ভারতীয় দলের মোহাম্মদ আরবাজ বলে হেড করলে গোলরক্ষক নাহিদুল ইসলাম লাফিয়ে উঠে হাত দিয়ে বলের গতিপথ পরিবর্তন করে দিলে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।

৪২ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশ হয়তো সমতায় ফিরতে পারতো। কিন্তু নাজমুল হুদা ফয়সালের পাস থেকে আব্দুল্লাহ জুনায়েদ চিশতির ক্রসে তাদের দলের আরেক সতীর্থ খেলোয়াড় লক্ষ্যহীন শটে তা হয়ে উঠে নি। ফলে ১-০ ব্যবধানে শেষ ফাস্টহাফের খেলা।

৭২ মিনিটে নিজের একক নৈপুণ্যে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে লেভিস জাঙমিলুন। ডানপ্রান্ত থেকে ভিশাল যাদবের সাথে ওয়ান টু ওয়ান পাসে বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে ডানপায়ের জোরালো শট বলকে তার সঠিক গন্তব্যে পাঠিয়ে দেন জাঙমিলুন। পরবর্তীতে আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ২-০ তে জয় পায় ভারত এবং সাফ অ-১৬ চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে।

Previous articleশিরোপা লড়াইয়ে আজ ‍মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
Next articleবিনা প্রাপ্তিতে থাইল্যান্ড মিশন শেষ করলো বাংলাদেশ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here