বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বসুন্ধরা কিংসের পর এবারের মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেটের দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। খাতা-কলমে বিদেশি ও স্থানীয় খেলোয়াড় তালিকাতেও সেই কথার মিল পাওয়া যায়। সবজায়গায় বিগ বাজেটের দল হিসেবে চিহ্নিত হলেও শুধু খেলার মাঠেই দেখা যাচ্ছে না দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরুচে দলের প্রতিচ্ছবি। সাম্প্রতিক সময়ে মৌসুম শুরুর আগেই শেখ রাসেলের ব্যাপারে খুব হাঁকডাক শোনা যায়। বিশেষ করে বিদেশি ফুটবলারদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে। ক্লাব সূত্র অনুযায়ী বিদেশি খেলোয়াড়দের নামের পাশে লেখা থাকে মোটা অঙ্কের বেতন। কিন্তু মাঠের খেলার সঙ্গে সেই বেতনের পার্থক্যটা থেকে যায় আকাশ–পাতাল। কয়েক মৌসুম ধরেই দেখা যাচ্ছে এমন। তবে এবারের মৌসুমে যেনো নিজেদের অস্তিত্ব হারানোর পথে ২০১২-১৩ মৌসুমে একমাত্র বাংলাদেশী ক্লাব হিসেবে ‘ট্রেবল’ জয় করা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

মৌসুমের প্রথম দুই টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপে নিজেদের ঠিকঠাক মেলে ধরতে না পারা শেখ রাসেলের চ্যালেঞ্জ ছিলো লিগে ঘুরে দাঁড়ানো। কিন্তু স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপের ব্যার্থতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে লিগ টেবিলের তলানিতে রয়েছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ৮ম রাউন্ড শেষে ১২ দলের লিগে ১১ নম্বরে অবস্থান করছে শেখ রাসেল। এখন পর্যন্ত লিগে শেখ রাসেলের জয় মাত্র ১টি। সাথে ২ ড্র ছাড়া হেরেছে বাকি ৫ ম্যাচ। শেখ রাসেলকে হারানোর তালিকায় ঢাকা আবাহনী, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে রয়েছে দুই ‘পুঁচকে’ দল উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।

শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৮ম রাউন্ডের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় লিগ টেবিলের তলানিতে থাকা মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে নিজেদের অবস্থানের উন্নতির লক্ষ্যে মাঠে নামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে উল্টো শেখ রাসেলকে ১১ নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। ম্যাচের ২২তম মিনিটে জাপানি মিডফিল্ডার ওতানির শট গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৫৪তম মুক্তিযোদ্ধার আরেক জাপানি ফুটবলার তেতসুয়াকি মিসুয়ার ফ্রি কিক শেখ রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ফিস্ট করলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি, ফিরতি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুক্তিযোদ্ধার মিডফিল্ডার দিদারুল ইসলাম। এরপর নির্ধারিত সময় শেষের ৯ মিনিট আগে মুক্তিযোদ্ধার আরেক স্থানীয় ফুটবলার আমিনুর রহমান সজীবের গোল শেখ রাসেলকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেয়।

দিনের আরেক ম্যাচে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে গোলশূন্য রুখে দিয়েছে উত্তর বারিধারা। একের পর এক আক্রমন করেও গোলের দেখা পায়নি শন লেনের মোহামেডান। অপরদিকে কয়েকবার কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের সুযোগ তৈরি করেও এগিয়ে যাওয়া হয়নি উত্তর বারিধারার। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মোহামেডান ও উত্তর বারিধারার।

Previous articleবসুন্ধরার বড় জয়ের দিনে পয়েন্ট খোয়ালো আবাহনী-শেখ জামাল!
Next articleঅন্তিম সময়ের পেনাল্টি থেকে পুলিশ এফসির ভাগ্য বদল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here