ফলাফল হয়তো সবার ধারণায় ছিলো, আর হলোও সেটিই। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে শরীরিক গঠনই বড় রকমের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে দুইদলের মাঝে। ফলাফল নেতিবাচক হলেও নিজেদের জায়গা থেকে লড়াই চালিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ফলশ্রুতিতে ম্যাচের ৪ মিনিটে ক্রেইগ গুডউইনের ফ্রি কিকে হ্যারি সাউটারের হেড থেকে গোলের দেখা পেয়ে যায় সকারুজরা। অজিদের উচ্চতা এবং শক্তিশালী গঠনের কারণে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলো বাংলাদেশ দল। ম্যাচের ২০ মিনিটে লুইস মিলারের পাস থেকে হাসান মুরাদকে পিছনে ফেলে কোনর ম্যাটক্লেফের পিন পয়েন্ট সেটয়াপ থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন বোরেল্লো।

গোল হজম করলেও নিজের নৈপুণ্য ঠিকই দেখিয়েছেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক মিতুল। ২৭ মিনিটে গুডউইনের ক্রস থেকে বোরেল্লোর হেডে দুর্দান্ত এক সেভ দিয়ে দলকে বাঁচিয়ে দেন মিতুল। ম্যাচের ৩৭ এবং ৩৯ মিনিটে পরপর দুইটি গোল করেন অস্ট্রেলিয়া দলের ফরোয়ার্ড মিচেল ডিউক। এতে করে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০ তে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে আবারো বাংলাদেশ দলকে রক্ষা করেন মিতুল। দলের ত্রাণকর্তা হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড লাইনের অন টার্গেট শট তালু বন্দি করেন। ফলে ৪-০ শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও গোল দিয়ে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ৪৮ মিনিটে জর্ডান বোসের পাস থেকে আলতো ছোঁয়ায় পঞ্চম গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন। ৭০ মিনিটে আবারো গোল করে অস্ট্রেলিয়া। বক্সের ভেতর থেকে মাসিমো লুয়ানগোর শট প্রথমবার মিতুল ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ডে বিনা বাধায় জালে বল পাঠিয়ে দেন জেমি ম্যাকলারেন।

৮৪ মিনিটে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করেন জেমি ম্যাকলারেন। ফলাফল দাঁড়ায় ৭-০ তে। ৮৯ মিনিটে আইডেন অ’নিলকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে পেনাল্টির স্পট কিক থেকে মাসিমো লুয়ানগো শট আটকে দেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। এতে করে ৭-০ তে শেষ হয় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই।

Previous articleকিভাবে দেখা যাবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ!
Next articleঅস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আরেকটু লড়াইয়ের প্রত্যাশায় ছিলেন ক্যাবরেরা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here