অন্তিম মুহুর্তে এলিটা কিংসলে দেখালেন নিজের ভেলকি,তাতেই রক্ষা বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লীগের একাদশ রাউন্ডে নিজেদের মাঠ বসুন্ধরা কিংস এরেনাতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হয় বসুন্ধরা কিংস। নাটকীয়পূর্ণ ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র থাকা ম্যাচটি দ্বিতীয়ার্ধেও অর্ধেকের বেশি সময় গোলশূন্যই থাকে। ম্যাচের ৭১ মিনিটে এই ডেথলক ভেঙ্গে নিজের দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে এগিয়ে দেন ভালিজোনভ ওতাবেক। মাঠের ডানদিক থেকে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলেমন কিংয়ের বাড়ানো পাসকে বুক দিয়ে রিসিভ করে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন ওতাবেক। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো কিছুটা এগিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওতাবেক বলকে হাফ ভলিতে জালে পাঠিয়ে দেন।

তবে লিড বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারে নি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। পিছিয়ে পড়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় বসুন্ধরা কিংসকে সমতায় ফেরায় বসনিয়ান মিডফিল্ডার স্টোয়ান ভ্রানিয়াস। ফ্রি-কিক থেকে বাম পায়ের অনবদ্য শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে কোনো সুযোগ না দিয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন ভ্রানিয়াস।

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আনিসুর রহমান জিকোর ভুলে আবারো গোল হজম করে বসুন্ধরা কিংস। কাউন্টার এটাকে উঠে এসে ম্যাথিউ চিনেদু বল দেন ওতাবেকের কাছে। ওতাবেক সময় নিয়ে বল বাড়ান ফয়সাল আহমেদের কাছে। ফয়সাল আহমেদ বল পাওয়া মাত্রই অন-টার্গেট শট নেন। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বল লুফে নিতে চাইলে তার হাত থেকে বল ফসকে বেরিয়ে যায়। জিকো হাত থেকে ফসকানো বলকে আলতো টোকা দিয়ে গোল করে ফেলেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলেমান সিল্লাহ।

৮৫ মিনিটে আবারো শেখ জামালের গোল। এবার গোল করেন শেখ জামালের ফরোয়ার্ড সলেমন কিং। বসুন্ধরার খেলোয়াড়দের ভুল পাসে বল পেয়ে যায় ওতাবেক। বলের দখল নিয়ে ওতাবেক একাই ছুটে যান কিংসের রক্ষণে। সেখানে ওতাবেক তারিক কাজীকে পাশ কাটাতে গেলে তারিক কাজী তার পা থেকে বল বের করে দেন। কিন্তু তাতে বল পেয়ে শেখ জামালের সলেমন কিং। বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে মাটি ঘেষানো শট গোল আদায় করে নেয় কিং। এতে করে দুই গোলে এগিয়ে যায় ধানমন্ডি ক্লাব।

ম্যাচের রেগুলেশন টাইমের ৮৯ মিনিটে এসে বসুন্ধরার হয়ে এক গোল শোধ করেন এলিটা কিংসলে। মাঠের ডানপ্রান্ত থেকে মাহমুদুর রহমান সুপীলের ক্রস থেকে হেড করে গোল করেন কিংসলে। মিনিট দুয়েক পর আবারো কিংসলে ম্যাজিক। ম্যাচের ইঞ্জুরি টাইমে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের লম্বা পাস থেকে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে হেড করে গোল করে দলকে সমতায় ফেরায়। ফলে ৩-৩ গোলের সমতায়
শেষ হয় নাটকীয় এই ম্যাচ।

এতে করে ১১ ম্যাচে ৮ জয়, ২ ড্র ও ১ হারে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থান এখনো নিজেদের নামে করে রেখেছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে ৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

Previous articleবিসিএল ফিক্সিংয়ের তদন্ত শুরু করলো বাফুফে!
Next articleবারিধারা জালে আবাহনীর পাঁচ গোল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here