অক্টোবরে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ২০২২ ও এশিয়া কাপ ২০২৩ বাছাইয়ের বাকি ম্যাচগুলো। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে জাতীয় দলের ফুটবলারদের ক্যাম্পের কার্যক্রম। তবে দলীয় প্রদর্শন ভালো করতে দ্রুত ক্যাম্প শুরুর আহবান জানিয়েছেন জাতীয় দলের দুই ডিফেন্ডার তপু বর্মন ও বিশ্বনাথ ঘোষ।

জাতীয় দলের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ দর্বশকদের পাশে পাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আসছে এএফসি ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চারটি ম্যাচের তিনটিই হতে যাচ্ছে দেশের মাটিতে। তাই দর্শকদের সুযোগ আছে নিজের দেশের খেলা মাঠে বসে উপভোগ করার এবং জোর সাপোর্ট দেয়ার। আশা করব সবাই যেন মাঠে এসে আমাদেও উৎসাহ দেন। আমি বাফুফেকে দ্রুত ক্যাম্প শুরুর অনুরোধ করছি। ক্যাম্পের মাধ্যমে খেলোয়াড়রা অনুশীলনে ফেরার এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন।’

জাতীয় দলের অন্য ডিফেন্ডার তপু বর্মন বলেন, ‘এএফসি ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চারটি ম্যাচের ফিক্সচার তৈরি হয়েছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মাঠে খেলা গড়াবে। তাই দ্রুত জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়া প্রয়োজন। ভালো ফলাফলের জন্য ভালো ট্রেনিং, ভালো সুযোগ-সুবিধা, দলবদ্ধ অনুশীলনের বিকল্প নেই। দক্ষতা ও কৌশল নিয়ে কাজ করার মত প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টিরও বিকল্প নেই। দর্শকদের ভালো খেলা উপহার দিতে আমরা মুখিয়ে আছি। তাই যথাসম্ভব দ্রুত জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর আহবান জানাই।’

এখন পর্যন্ত বাছাই পর্বের বাংলাদেশের অবস্থা সুবিধাজনক নয়। আফগানিস্তানের সাথে হার দিয়ে শুরু পর ঢাকায় কাতারের সঙ্গে লড়াই করেও ২-০ ব্যবধানে হারের স্বাদ পায় জামাল বাহিনী। কলকাতার ভারতের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ দিকে গোল হজম করে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে ফিরে বাংলাদেশ দল। করোনা মহামারীতে খেলা বন্ধ হওয়ার পূর্বে শেষ ম্যাচে ওমানের সঙ্গে ৪-১ ব্যবধানে হার। চার ম্যাচে শেষে মাত্র একটি পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবে সামনের চার ম্যাচ থেকে কিছু পয়েন্ট আশা করছেন আবারও দুইবছরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পাওয়া জেমি ডে। মূলত তিনটি হোম থাকায় আশার পালে বাতাস লাগছে বেশি। এএফসি ও ফিফার প্রস্তাবিত নতুন শিডিউলে অক্টোবরের ৮, নভেম্বরের ১২ ও ১৭ তারিখে বাংলাদেশের তিনটি হোম ম্যাচ যথাক্রমে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের সঙ্গে। অ্যাওয়ে ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলবে কাতারে ১৩ অক্টোবর। তবে ভারত ও বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হওয়ার মতো কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে এখনও নিজেদের হোম ম্যাচ পাওয়া নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীরা।

Previous articleআবারো বাংলাদেশের ফুটবলে ফিরছেন স্মলি?
Next articleইতিবাচক সমর্থনের আহ্বান মামুনুলের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here