ফুটবল দুনিয়ায় আলাদা করে দলের ম্যানেজার থাকার বিষয়টি সম্ভবত উপমহাদেশেই বেশি প্রচলন। বাংলাদেশ দলেও নেই সেটির ব্যতিক্রম। তবে অতীতে এই ম্যানেজার পদ এবং সেটির মাধ্যম হয়ে জাতীয় দলে খেলোয়াড় সুযোগ পাওয়া এসব নিয়ে কম আলোচনা সমালোচনা হয়নি। তাই বিতর্কমুক্ত থাকতে নতুন করে এই পদে নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ( বাফুফে)।

বেশ অনেকটা সময় ধরে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন সত্যজিৎ দাস রুপু। এতটা সময় ধরে এই দায়িত্বে আগে কখনো কেউ ছিলেন না। পাশাপাশি সময়ে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকায় প্রায়শই প্রশ্ন উঠতো রুপুকে নিয়ে। অনেক ক্লাবই আবার জোর দাবি করেছিলো রুপুকে যাতে দায়িত্বে না রাখা হয়। টানা চতুর্থ বারের মতো বাফুফে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নতুন মেয়াদে বিতর্ক মুক্ত থাকতে চাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। পরিবর্তন আনতে চান জাতীয় দলের ম্যানেজার পদে। ইতিমধ্যে নির্বাহি কমিটির সভায় গঠন করা হয়েছে সাব-কমিটি। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন ব্যর্থ হলেই ছাড়তে হবে দায়িত্ব।

আগামী মাসে নেপালের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ থেকেই নতুন ম্যানেজার নিয়োগ দিতে চাচ্ছে ফুটবল ফেডারেশন। আগামী সপ্তাহে ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে নতুন ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া নিয়ে। এখান থেকে কোনো নাম আসলে তা পাঠানো হবে নির্বাহী কমিটির কাছে। ফুটবল ফেডারেশন চাইছে বেতনভুক্ত ম্যানেজার নিয়োগ দিতে।

তবে খুব বেশি তাড়াহুড়ো করেও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বাফুফে। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দুটির আগে নতুন ম্যানেজার নিয়োগ না দেয়া সম্ভব হলে সেক্ষেত্রে কোচ জেমি ডে-ই ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। ইউরোপীয় ধাঁচ অনুসরণ করলে এটি আশ্চর্যজনক নয়। দেখা বিষয় শেষ অব্দি কি সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে।

Previous articleময়মনসিংহ থেকে শুরু তৃণমূলের ফুটবলার খোঁজার কার্যক্রম
Next articleসাইফের দায়িত্বে পূর্বে বিতর্কিত হওয়া পল পুট!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here