বাংলাদেশের ফুটবলে পাতানো খেলা প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়েছে। তথ্য প্রমানের অভাবে অনেকগুলো ম্যাচ তালিকার আওতাভুক্ত না হলেও পাতানো খেলা যে বাংলাদেশ ফুটবলের উন্নতির অন্তরায় তা ফেডারেশন থেকে সাধারণ সমর্থক সকলেই জানেন। করোনা মহামারীতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ক্লাবগুলো। তাদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে পাতানো ম্যাচ চক্রের লোকরা। তাই তো এএফসি থেকে এখনই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে ফেডারেশনগুলোর কাছে। ঐ চক্ররা যাতে ফুটবলের সৌন্দর্য নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ইতিমধ্যেই সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক থাকতে এবং কিছু গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) পরবর্তী মৌসুমে পাতানো খেলা রোধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বনের ঘোষণা দিয়েছে।

এই বিষয়ে গতকাল এক ভিডিও বার্তায় বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি ফুটবল অঙ্গনকে এক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এর মধ্যে পাতানো খেলার মাধ্যমে ফুটবলের সততা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি অন্যতম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফুটবল খেলা বিঘ্ন হওয়ায় যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফুটবল খেলা ম্যানুপুলেশন করার জন্য বিভিন্ন সিন্ডিকেট এই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে।’ 

এএফসি কিছু নির্দেশনা ইতিমধ্যে পাঠিয়েছে ফেডারেশনগুলোকে। ফুটবল খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট কোন খেলোয়াড় অথবা কর্মকর্তা খেলার ফলাফল কে অনৈতিক অথবা অখেলোয়াড়সূলভ ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করা বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে। খেলোয়াড় অথবা কর্মকর্তা ফুটবল সংশ্লিষ্ট কোন প্রকার বেটিংয়ে নিজে অংশগ্রহণ অথবা অন্য কাউকে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতে পারবে না। এছাড়া নিজের অথবা অন্যের সুবিধার জন্য এমন কোন তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না যা ফুটবলের ইন্টেগ্রিটির স্বার্থকে ব্যাঘাত করে। তারা এমন কোন ব্যক্তিবর্গের সাথে জড়িত থাকবেন না যিনি ইতিপূর্বে অবৈধভাবে কোন ফুটবল খেলা ফলাফলকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে এএফসির নিয়ম লংঘন করেছেন অথবা ইতিপূর্বে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কার্যকলাপের দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও তারা এমন কোন তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকে যা কোন ফুটবল খেলার ফলাফল কে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তা অনতিবিলম্বে নিজ ফুটবল ফেডারেশন অথবা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে অবহিত করতে এবং পরবর্তীতে ফুটবলের স্বার্থে যে কোন প্রকার ইনভেস্টিগেশনে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আসন্ন ফুটবল মৌসুমে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ন্যায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও পাতানো খেলা রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে বদ্ধপরিকর বলে জানান সালাম মুর্শেদী। এ বিষয়ে সকল ক্লাব, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।

Previous articleসাইফ এসসি’র দলবদলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
Next articleমালদ্বীপে হতে পারে কিংসের এএফসি কাপের খেলা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here