করোনা মহামারীর কারণে অন্যদের মতোই মাঠে বাইরে ছিলো নেপাল ও বাংলাদেশ ফুটবল দল।অবশেষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ফিরছে প্রতিযোগীতামূলক ফুটবলে। আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর দুটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল।

কোয়ারান্টাইন শেষ করে গতকালই প্রথম ঢাকার মাঠে অনুশীলন করেছে নেপাল। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে নিজের দল থেকে ভালো ফলাফল আশা করছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান নেপাল কোচ বাল গোপাল মহারজন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দল যথেষ্ট সময় অনুশীলন করতে পারেনি করোনাভাইরাস এবং আমাদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য। এক সপ্তাহ আগে আমরা অনুশীলন শুরু করেছি। আশা করি সামনে কয়েকটা দিনে আরও অনুশীলন করতে পারবো। আশা করি ছেলেরা ভালো করবে এবং ভালো ফল এনে দেবে।’

তবে করোনার পর খেলা ফেরাতেই স্বস্তি নেপাল কোচের। ধন্যবাদ দিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেও, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের আর সব দেশের যে অবস্থা, ফুটবলের কার্যক্রম থেমে গিয়েছিল, একই অবস্থা আমাদের বেলায়ও হয়েছে। এই সময়ে ফিফা প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের জন্য আমি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশকে সরকারকে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং টিমের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

অন্যদিকে জামাল ভুঁইয়াকে আই লীগে আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত নেপালের গোলরক্ষক কিরণ। মালদ্বীপ ও ভারতের লিগে নিয়মিত খেলেছেন তিনি। গত মৌসুম খেলেছেন আই-লিগের দল পাঞ্জাব এফসিতে। জামালকে নিয়ে আশাবাদী কিরণ বলেন, ‘জামাল ভাই প্রথম মৌসুমেই আই-লিগ মাতাবে আশা করি। এটা খুব ভালো খবর যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ফুটবলাররাও ভারতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগগুলো খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এটা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের জন্যই ভালো।’

Previous articleপ্রীতি ম্যাচ নয়, বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলতে চায় কাতার!
Next articleশেখ রাসেলের পথে আশরোরভ; জামালে ওটাবেক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here