বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছিল ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে এসে কোনো প্রকার পা ফসকায় নি মারিও লেমোসের শিষ্যরা। এই মৌসুমের জন্য নিজেদের হোম ভেন্যু সিলেট জেলা স্টেডিয়াম বন্যার কারণে ম্যাচ আয়োজনে অনুপযোগী হওয়ায় পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য আবাহনীর নতুন হোম ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামকে। আর নিজেদের নতুন হোম ভেন্যুতে প্রথম হোম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৪-১ গোলের বড় জয়ের দেখা পেয়েছে আবাহনী। আর এই জয়ে কাগজে কলমে এখনো লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে আকাশী-নীলদের সামনে!

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলে আবাহনী। গোলের জন্যও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আবাহনীকে। ম্যাচের ২০তম মিনিটে কোস্টারিকান সুপারস্টার দানিয়েল কলিন্দ্রেসের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় আকাশী-নীলরা। বক্সের সামনে থেকে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো কলিন্দ্রেসকেই বল দিয়ে দেন স্বাধীনতার ডিফেন্ডার। আর বক্সের সামনে থেকে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন ফরোয়ার্ড। এরপর দ্বিতীয় গোলের জন্য অপেক্ষাটা মাত্র মিনিট চারেকের। ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের গড়ানো ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের সার্বিয়ান ডিফেন্ডার ইভান ম্যারিচ। আর বক্সের ভেতর ফাঁকায় পাওয়া বলে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাপান আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েলটন। এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগে অবশ্য এক গোল শোধ দেয় নবাগত ক্লাবটি। বাম প্রান্ত থেকে জাহেদুল আলমের ক্রসে হেডে গোল করে স্বাধীনতাকে ম্যাচে ফেরানোর আভাস দেন জাপানি মিডফিল্ডার ইউতা সুজুকি।

অবশ্য বিরতি থেকে ফিরে স্বাধীনতাকে তেমনভাবে ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উল্টো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিতে থাকে আবাহনী। ৫৭তম মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের মাপা চিপ ধরে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন ডরিয়েলটন, ওয়ান টু ওয়ানে গোলকিপারকে পরাস্ত করে নিজের জোড়া গোল পূরণ করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান। এরপর ম্যাচের ৮০তম মিনিটে স্বাধীনতার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আবাহনীর আরেক ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল অগাস্তো। ডরিয়েলটনের ব্যাক হিল থেকে বল পেয়ে বা পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন আবাহনী অধিনায়ক। এই জয়ে কাগজে কলমে এখনো লিগ শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা টিকে রইলো ঢাকা আবাহনীর। তবে পরবর্তী রাউন্ডে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেলেই সব সমীকরণ অর্থহীন প্রমাণ করে লিগ শিরোপা জিতে নেবে বসুন্ধরা কিংস। তাইতো আবাহনীকে লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে নিজেদের জয়ের সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট হারানোর দিকেও।

Previous articleঅ-২০ ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পেলেন বিজন বড়ুয়া
Next articleমোহামেডানের জয়ের দিনে গোলশূন্য ড্র দিনের বাকি দুই ম্যাচ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here