স্বাধীনতা কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালেই অঘটনের শিকার নামে ভারে অন্যতম শক্তিশালী দল বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। শুরুতে গোল করেও জায়ান্ট কিলার হিসেবে পরিচিত পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে তারা! আর পুলিশকে বিদায় করে সেমি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে রহমতগঞ্জ।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠেয় ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় পুলিশ এফসি। বেশ কয়েকবার গোলের ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। পুলিশের আক্রমণাত্বক ফুটবলের জবাবে রহমতগঞ্জ কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে বক্সের ভেতর পুলিশ এফসির ফরোয়ার্ড এডওয়ার্ড মরিলোকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় রহমতগঞ্জ। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ইবারগুয়েন গার্সিয়া।

গোল হজম করেই যেন তেতে ওঠে পুরান ঢাকার জায়ান্টরা। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে সুশান্ত ত্রিপুরার ফ্রি কিক থেকে উজবেক ডিফেন্ডার ইস্কান্দারের হেড থেকে বল পেয়ে দারুন গোলে দলকে সমতায় ফেরান ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার স্যামুয়েল মেনশাহ। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো পুলিশের জালে বল পাঠায় রহমতগঞ্জ। ৩১তম আবারো সুশান্তর ফ্রি কিক থেকে ইস্কান্দারের হেড, আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে বাকি কাজ সহজেই সারেন স্যামুয়েল।

মুহূর্তের মধ্যে দুই গোল খেয়ে অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পুলিশ এফসি। এরপর নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় দলটি। তবে রহমতগঞ্জের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি তারা। ফলে অঘটনের শিকার হয়ে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় পুলিশ। আর পুলিশকে বিদায় করে শেষ চারে পৌঁছে যায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। নামে ভারে পিছিয়ে থাকলেও দলীয় সমন্বয় থাকলে যে যেকোনো দলকে হারিয়ে দেওয়া যায় সে কথারই আরো একবার স্পষ্ট প্রমাণ রেখে মাঠ ছাড়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

Previous articleস্বাধীনতা কাপের ভেন্যু পরিবর্তন
Next articleরহমতগঞ্জের কোচ কামাল বাবুকে বিদায়; আসবে বিদেশী কোচ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here