গত মার্চ মাসে নিজ দেশ নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এলিটা কিংসলেকে নিয়ে দেশের ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে জন্ম নিয়েছিলো বিশাল স্বপ্ন। সবার ভাবনায় ছিলো হয়তো এবার এলিটা কিংসলের হাত ধরে ঘুচবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশ দলের গোল করতে না পারার ব্যার্থতা।
তবে তা আর হলো কই? বাংলাদেশী হিসেবে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে বিপিএলে খেলতে পারলেও খেলতে পারেননি এএফসি কাপে। কেননা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য যে তখনো পাননি ফিফা-এএফসি থেকে ছাড়পত্র।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২য় পর্বের দলবদলে বাংলাদেশী হিসেবে এলিটা কিংসলের নাম নিবন্ধন করে বসুন্ধরা কিংস। সেই সাথে তার নাম এএফসি কাপের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করে। যেহেতু এলিটা কিংসলে নাইজেরিয়ার নাগরিক ছিলেন তাই এএফসি নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশন হতে ছাড়পত্র নিতে বলে। নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকে পাওয়া ছাড়পত্র এএফসিতে জমা দেওয়ার পর এলিটা কিংসলের গত ৫ বছরে বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার তথা ট্রাভেলের বিস্তারিত তথ্য জানতে চায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করে জমা দিতে দিতে শেষ হয়ে এবারের এএফসি কাপের খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের সময়। তাই আর এএফসি কাপে খেলা হয়নি এলিটা কিংসলের।
তারপর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনুমতি পেতে প্রযোজ্য আনুষাঙ্গিক সকল কাগজপত্র ১২ সেপ্টেম্বর ফিফা এবং এএফসিতে পাঠানো হয়। এরপর গত ২২ সেপ্টেম্বর এএফসি জানায় কোনো খেলোয়াড়ের অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ নিজ দেশ পরিবর্তন করে অন্যদেশের হয়ে খেলতে হলে যে অনুমতি প্রয়োজন তা শুধুমাত্র ফিফারই দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। তাই বাফুফেকে ফিফার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। তবে এলিটা কিংসলের মাঠে নামার একটি সুযোগ ছিলো। কিংসলে মাঠে নামলে যদি বিপক্ষ দল কোনো প্রতিবাদ করে তাহলে তার সম্পূর্ন দায়ভার বাফুফেকে নিতে হবে। তাই আর শেষ পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বাফুফে।
তবে এলিটা কিংসলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে এখনও ফিফার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বাফুফে।