অবশেষে মাঠে ফিরছে বাংলাদেশের শীর্ষ সারির ফুটবল। ফেডারেশন কাপ দিয়ে করোনা কালকে সঙ্গী করেই আজ থেকে মাঠে নামতে প্রস্তুত ১৩ ক্লাব। ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া ফেডারেশন কাপ এবার ৪০ বছরে পা রাখতে চলেছে। আর প্রথমদিনই মুখোমুখি গতবারের দুই ফাইনালিস্ট বসুন্ধরা কিংস ও রহমতগঞ্জ এমএফএস।

করোনার কারণে সেই মার্চে লিগ বন্ধ হয়ে গেলে তা বাতিল করা হয়। গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলা ফিরলেও ঘরোয়া মৌসুম তখনই শুরু করেনি ফেডারেশন। ক্লাবের খেলোয়াড়েরা ছিলেন অনেকদিন যাবত মাঠে বাইরে। তাদের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করলে লীগ শুরুর তাগিদ ছিলো ফুটবল ফেডারেশনের। তাই আর দেরী না করে সতর্কতা মেনেই মাঠে গড়াচ্ছে দেশের ঘরোয়া ফুটবল।

ফেডারেশন কাপে খেলবে প্রায় ৪০২ জন ফুটবলার যার মধ্যে বিদেশী রয়েছে ৫২ জন। ১৯ টি ভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশিদের মধ্যে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশ ব্রাজিল থেকে এসেছে ছয় জন, আর্জেন্টিনা থেকে এক জন।সর্বোচ্চ বিদেশী এসেছে নাইজেরিয়া থেকে। নয় জন ফুটবলার খেলবে আফ্রিকার এই দেশটির।এছাড়াও আইভরি কোস্টের ছয় জন, উজবেকিস্তানে ছয়জন, কিরগিস্তানের তিন জন, মিশরের তিনজন। এসেছেন গাম্বিয়া, কঙ্গো, হাইতি, ঘানা, ক্যামেরুন, জাপান, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, মালি, গিনি, আফগানিস্তানের ফুটবলার। কোচদের তালিকায় দেশের আছে ছয়জন, বিদেশের সাতজন।

মৌসুমের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। শক্তিমত্তার বিচারে অনেক এগিয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস এবারও শিরোপার দাবিদার। অন্যদিকে গতবারের ফেডারেশন কাপ রানার্সআপ রহমতগঞ্জ কিংসের বিরুদ্ধে কখনও জিততে না পারলেও সবসময়ই জানিয়েছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ। শিরোপা জয়ের বিষয়ে প্রত্যয়ী বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রবসন রবিনহো অফসাইডকে অনলাইন একটি মাধ্যমে জানান, ‘আমরা প্রস্তুত। শিরোপা জয়ের জন্য আমি এবং আমার সতীর্থরা মিলে নিজেদের সেরাটাই দিবো।’

পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে প্রস্তুত কিংসের বিপক্ষে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে রহমতগঞ্জ। কেননা প্রথম ম্যাচে ৩ জন বিদেশীকে ছাড়াই খেলতে হবে তাদের। রহমতগঞ্জের ক্যাম্পে আছে শুধুমাত্র মিশরের আলা নাসের। তাজিকিস্তান জাতীয় দলের স্ট্রাইকার দিলশোদ বাসিভ ও খুরশিদ বেকনাজারভ এবং আইভেরি কোস্টের ক্রিস্ট রেমি এখনও দলেট সাথে যোগ দেন নি। দুই তাজিক ফুটবলারের আজ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। তবে এসেই মাঠে নামতে পারবেন না তারা। করোনা টেস্টের পর মানতে হবে কোয়ারান্টাইন। এছাড়া এখনও ভিসাই পাননি রেমি। ভিসা পেলেই তিনি রওনা হবেন। এতে করে প্রথম ম্যাচে চার বিদেশীর তিনজনকেই পাবে না রহমতগঞ্জ। এমনকি রেমিকে হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচেও পাওয়া যাবে না এমনটা অফসাইডকে নিশ্চিত করে একজন ক্লাবকর্তা।

তারপর ভালো খেলার প্রত্যাশা রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের চার বিদেশির মধ্যে মাত্র একজন এসেছেন। তাই বিদেশি কম নিয়েই খেলতে হচ্ছে শুরুতে। তারপরও আশাবাদী এক বিদেশি নিয়ে ভালো খেলার।’

আজকের ম্যাচ :

Previous articleফেডারেশন কাপের জন্য প্রস্তত কোচরা!
Next articleপাঁচজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here