ফিলিস্তিনের বিপক্ষে গত ২২ শে মার্চ প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। প্রথমে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ম্যাচের মাঝপথে এসে খেই হারিয়েছে ক্যাবররা বাহিনী। ফলাফল বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়। এতো বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা নিজেরাও মেনে নিতে নি। বর্তমানে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দলের হার খেলোয়াড়দের কাছে বড় আক্ষেপের কারণ।

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ৫-০ গোলের এই হার বাংলাদেশের জন্য হতাশার। কিন্তু হতাশার এই স্মৃতি মনে রাখতে চায় না বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় সোহেল রানা। বর্তমানে তাদের নজর ফিরতি লেগে। এই ফিরতি লেগ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে সোহেল রানা বলেন,

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কোচ আমাদের অনেক কিছুই বলেছেন। ওই অনুযায়ী আমরা খেলতে পেরেছি, কিন্তু অনেক কিছু আবার করতেও পারিনি। এখন আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। গত ম্যাচটা ভুলে যেতে চাই। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, তাই আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। প্রথম ম্যাচ যেভাবে হেরেছি, আমরা চেষ্টা করব ঘরের মাঠে যেমন খেলতে পারি, সেটাই খেলে যেন ভালো একটা ফল বের করতে পারি।

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হারের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ দলের সকলের ভুল। বিশেষ করে ডিফেন্ডারদের ভুলের কারণে ফিলিস্তিনের গোলের উত্তাপে পুড়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো এখন কাজ করছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফিরতি লেগে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় সোহেল রানা বলেন,

গত ম্যাচে আমরা ছোট ছোট যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। ওই ভুলগুলো শুধরে যদি মাঠে ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে আমরা ফিরতি লেগে ভালো কিছু পাব আশা করি। ম্যাচটা শুরুর হওয়ার আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা অন্তত এইভাবে হারব না। এভাবে যে হারব, আমরা খেলোয়াড়রাও চিন্তা করিনি। কিন্তু ম্যাচের মধ্যে ছোট ছোট কিছু ভুল অনেক সময় অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। এই পর্যায়ের দলের সাথে আমরা বড় ভুল করিনি, কিন্তু যে ছোট ভুলই করেছি, ওরা সুযোগটা নিয়েছে। ওরা বড় দল, ওদের প্রেসারের কারণে আমরা ভুলগুলো বাধ্য হয়ে করেছি। আশা করি, পরের ম্যাচে এগুলো হবে না।

সোহেলের মতো নিজেদের ভুল পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছে বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার তপু বর্মন। তার মতে ডিফেন্ডার ভালো করলে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভালো ফলাফল আসতো,

আমাদের স্ট্যামিনায় কোন ঘাটতি ছিল না। হ্যাঁ, মনোযোগ আরেকটু ভালো থাকলে তা কাটিয়ে উঠতে পারতাম। আমাদের দলীয় যে রক্ষণ ছিল, সেখানে সবাই যদি ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। চার জনের বিপরীতে ছয়জন হলে কঠিন, সেটা আবার ফিলিস্তিনের মতো দলের বিপক্ষে হলে আরও কঠিন। আমার কাছে মনে হয়, দলীয় রক্ষণ ভালো হলে ম্যাচ হারতাম, কিন্তু এত গোল হজম করতাম না।

এছাড়া তিনি আরো বলেন,

কামব্যাক করা অবশ্যই সম্ভব, কামব্যাক বলতে ৫-০ গোলে জিততে হবে এমন না। আমাদের মাঠে ওদেরকে যদি হারাতে পারি তাহলে ভালো। অবশ্যই আমাদের ওটাই লক্ষ্য। কুয়েতে যে ফলাফল হয়েছে, সেটা হতাশাজনক। এটা দলের কেউই আশা করে নাই। অবশ্যই এখানে ঘুরে দাঁড়াতে চাই আমরা। আমি মনে করি, আমাদের মনোযোগে ঘাটতি ছিল না। বিশেষ কোনো সমস্যা ছিল না। ডিফেন্ডিংটা নড়বড়ে ছিল এবং এটা আমাদের কাছে মাইনাস পয়েন্ট। আমরা সমান তালে লড়াই করছিলাম। হঠাৎ গোল হজম করে আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল আমাদের।

আগামী ২৬ শে মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিরতি লেগে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে আবারো মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে এখনো পর্যন্ত এক ম্যাচেও জয় পায় নি জামালরা। তাই ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের একমাত্র প্রত্যাশা ভালো ফলাফল ছিনিয়ে আনা।

Previous articleঅনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন ম্যাচের টিকেট!
Next articleকোচেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হলেন রুপু!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here