পুরুষ ফুটবলে অধরা সাফ শিরোপা ঘরে এনে দিলেও নারীদের ফুটবলে বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা এতদিন যৎসামান্যই ছিল। তাই নারী ফুটবলাররা বারবার বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অর্থাভাবের অজুহাতে সেই দাবি এতদিন উপেক্ষা করে গেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এরই মধ্যে বেতন বাড়ানোর জন্য অনুশীলন বর্জনও করেছিল মেয়েরা। অবশেষে তাদের দাবি পূরণ হচ্ছে। আর্থিক সংকটের অজুহাতে গত ১০মাস ধরে যে দাবি পূরণ করেনি বাফুফে। অবশেষে পূরণ হচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সেই দাবি। বেতন বাড়ছে নারী ফুটবলারদের। শীর্ষ পর্যায়ের ৩১ ফুটবলারের সঙ্গে বুধবার (১৬ আগস্ট) বাফুফে ভবনের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। ৬ মাসের এই চুক্তি কার্যকর হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

সাবিনা খাতুনদের দাবি ছিল মাসে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন। নারী দলের অধিনায়ক সাবিনাসহ ১৫ ফুটবলারকে মাসে ৫০ হাজার টাকা করেই দেবে বাফুফে। তবে বাকিদের মধ্যে ১০জন পাবেন ৩০ হাজার টাকা করে। বাকি ৬ ফুটবলারের ৪জন মাসে ২০ হাজার ও ২জন ১৮ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন। পূর্বে সাবিনা বেতন পেতেন ২০ হাজার। বাকি সবাই পেতেন ১০ হাজার করে। সাবিনার আড়াই গুণ বেতন বাড়ল, বাকিদের মধ্যে ১৪ জনের বেতন বাড়ল পাঁচগুণ!

মেয়েদের এই বেতন কোন তহবিল থেকে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফিফার তহবিল ও স্পনসর থেকে মেয়েদের বেতনের টাকা দেওয়া হবে।’ বাফুফে সভাপতি এ সময় আরো বলেন, ‘মেয়েরা আরও ভালো পারফরম্যান্স করুক। আমি তাদের আরও দিতে প্রস্তুত। আমি চাই ওরা আরও ভালো খেলুক, আরও বেতন দাবি করুক। সামর্থ্য থাকলে আমি ওদের বেতন আরও দিতাম।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ঈদ বোনাসটা আমরা দিতে পারি না, কারণ ফুটবলবিশ্বে এটা কোনো সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না।’

এদিকে বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি মেয়েদের আচরণবিধিতেও পরিবর্তন আনছে বাফুফে। আরও কঠোর হচ্ছে আচরণবিধি। অনুশীলবর্জন, বাফুফেকে অবহিত না করে কোথাও যাওয়া , ইত্যাদিসহ কোনো শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া হবে বলেও চুক্তিপত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাফুফে।

Previous articleঈগলসকে হারিয়ে দ্বিতীয় ধাপে উর্ত্তীণ হলো আবাহনী।
Next articleএকই রণক্ষেত্রে পুরাতন প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়াবে আবাহনী!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here