এইতো গেল শনিবারই ভারতীয় জায়ান্ট এটিকে মোহনবাগানের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। সেই হারের ক্ষত শুকানোর আগেই এএফসি কাপে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মহা গুরুত্বপূর্ন এক ম্যাচে মাঠে নামতে হয়েছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যদের। কিন্তু নিজেদের স্বরূপে ফিরে আসার জন্য এই ম্যাচটাকেই বেছে নিলো বসুন্ধরা কিংস। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালাকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাঁচিয়ে রাখলো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে গোল দুটি করেছেন অধিনায়ক রবসন রবিনহো এবং গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড নুহা মারং।

কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সল্ট লেক স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই গোকুলামের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। প্রথম ৫ মিনিট কেরালার রক্ষণকে বেশ চাপে রাখেন রবসন। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে ৫ম মিনিটে গোল করার দারুন সুযোগ হারান কেরালার মিডফিল্ডার জিতিন। ১৫তম মিনিটে সোহেল রানার দূরপাল্লার জোরালো শট প্রতিহত হয় ডিফেন্ডার অ্যামিনো বৌবার পায়ে লেগে। ২৭তম মিনিটে মিগুয়েল দামাসেনার শট যায় অনেকটা বাইরে দিয়ে। এরপর ২৭তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রবসন রবিনহোর নেওয়া শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন কেরালার গোলরক্ষক রাকশিত দাগার। কিন্তু ৩৬তম মিনিটে আর রবসনকে আটকে রাখা যায়নি। বা প্রান্তে বক্সের কোণা থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে দূরের পোস্টে চোখ ধাঁধানো গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর ৪১তম মিনিটে আবারও কেরালার রক্ষনে কাপন ধরান রবসন। কিন্তু এবার আর লক্ষ্যে থাকেনি তার শট।

বিরতির পর ৫৪তম মিনিটে রবসন রবিনহোর মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বসুন্ধরাকে দুই গোলের উল্লাসে ভাসান নুহা। এই নিয়ে এএফসি কাপে দুই ম্যাচ খেলে দুই ম্যাচেই গোল করলেন এই গাম্বিয়ান। তবে ৭৫তম মিনিটে এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেয় গোকুলাম কেরালা। বদলি হিসেবে নামা রাইট ব্যাক জসিমের ক্রসে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এই জ্যামাইকান উইঙ্গার। এরপর বসন্ধরা রক্ষণে আরো বেশ কয়েকটি আক্রমন চালায় গোকুলাম, কিন্তু সফল হয়নি। ৯০তম মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় কিংস। প্রায় ত্রিশ গজ দূর থেকে ফ্লেচারের নেওয়ায় ফ্রিকিক জিকোর হাতে লাগার পর ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এরপর মতিন মিয়া বেশ কবার হামলে পড়েন কেরালার রক্ষণে, কিন্তু করতে পারেননি গোল। শেষ দিকে রবসনের প্রচেষ্টা কেরালা গোলকিপার ফিরিয়ে দিলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি কিংসের।

ফলে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েই মাঠ ছাড়ে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। সেইসাথে এই জয়ে নিজেদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাও বাঁচিয়ে রাখলো কিংস। এখন গ্রুপের শেষ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের পয়েন্ট হারানোর দিকে তাকিয়ে থাকবে বসুন্ধরা কিংস। এটিকে মোহনবাগানের পয়েন্ট হারানো মানেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় রাত ০৯.০০ টায় মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান।

Previous article‘এএফসি অ-২০ এশিয়ান কাপ’ মিশনে বাংলাদেশের অবস্থান গ্রুপ ‘বি’-তে
Next articleজাতীয় দলের অনুশীলনে হাজির বাফুফে সভাপতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here