অবশেষে প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ‘সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপ’ এ অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। প্রস্তুতি ম্যাচের জন্যে বাফুফের আমন্ত্রণে প্রথমে সাড়া দিলেও পরবর্তীতে আরব আমিরাত দল পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। তাই প্রস্তুতি ছাড়া মালেশিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে টুর্ণামেন্টে অংশ নিবে সাবিনারা।

এই প্রসঙ্গে বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আমরা দু’টি ম্যাচ খেলেছি। দু’টি ম্যাচেই আমরা ভালো ফলাফল করেছি। সেই দুই ম্যাচ আমাদের জন্য এই টুর্নামেন্টে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’ সাফের উদ্দেশ্য আগামী ৩রা সেপ্টেম্বর নেপালের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এই আসরে বাংলাদেশের গ্রুপেই পড়েছে শক্তিশালী দল ভারত। এছাড়াও রয়েছে পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। গ্রুপ হিসেবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে গোলাম রাব্বানী ছোটন জানান, ‘আগে আমরা মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের সঙ্গে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পরশু দিন রওনা হচ্ছি। এক সপ্তাহ অনুশীলন করলে বিষয়টি আমাদের ফুটবলারদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ এবারের সাফ মিশনে বাংলাদেশ নারী দলের বেশীরভাগ খেলোয়াড়ই বয়সভিত্তিক দল থেকে এসেছে। সাবিনা খাতুন ছাড়া তেমন প্রত্যক্ষ কোনো সিনিয়র খেলোয়াড় নেই। আজ থেকে তিন বছর আগে এই নেপালেই বাংলাদেশের ফুটবলাররা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে নিজেদের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই তিন বছরের বাংলাদেশের ফুটবলাররা আগের তুলনায় আরো বেশী নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে বলে মনে করেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘তিন বছরে আমাদের খেলোয়াড়রা আরো বেশি অভিজ্ঞ এবং পরিপক্ব হয়েছে। সব দিক থেকেই তারা উন্নতি করেছে। কিছুটা হলেও ভারত এবং নেপালের থেকে ব্যবধান কমেছে আশা করি।’

কোচের মতো করেই দলের সতীর্থদের প্রতি বেশ ভালো আশা রাখছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বেশীরভাগ ফুটবলার বয়সভিত্তিক দলের হলেও ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা অ-১৬, ১৮ দলের হলেও তারা অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। ফলে তাদের ম্যাচ টেম্পারমেন্ট কোনো অংশে কম বলা যাবে না।’

বাংলাদেশ দল

গোলকিপার : রুপনা চাকমা, ইতি রানী, সাথী বিশ্বাস

ডিফেন্ডার: মাসুরা পারভীন, আঁখি খাতুন, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), শিউলি আজিম, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা, আনাই মগিনি।

মিডফিল্ডার :মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), সোহাগী কিসকু, স্বপ্না রানী, ঋতুপর্ণা চাকমা

ফরোয়ার্ড : সানজিদা আক্তার, মার্জিয়া, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রাণী সরকার
সিরাত জাহান স্বপ্না, তহুরা খাতুন, আনুচিং মোগিনি, সাজেদা খাতুন।

Previous articleচ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য অনুর্ধ্ব ১৭ দলের!
Next articleসাফ চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিতে নেপাল পৌঁছালো নারী দল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here